এবার মাঠে মেলার মতো সাজানো গোছানো রয়েছে বিপণন স্টোর। সেখানে ভোজ্যতেল, চাল, ডাল, লবণ, ডিম, মাছ, সবজি, নুডলসহ ১৫টি দ্রব্যের সমাহার।
১০ টাকার টোকেন দিলেন চাহিদা মতো বাজার পাচ্ছেন অসহায় ও দুস্থরা। এ ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সুভারকুঠিতে।
গতকাল মঙ্গলবার হলোখানার সুভারকুঠি মাঠে ১০ টাকার বাজারে চলছে অস্বচ্ছল, বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের কেনাকাটা।
মূলত দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় প্রতি মাসে একবার এই বাজারের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। ১০ টাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাঠে রয়েছে মেলার মতো সাজানো গোছানো বিপণন স্টোর। সেখানে ভোজ্যতেল, চাল, ডাল, লবণ, ডিম, মাছ, সবজি, নুডলসহ ১৫টি দ্রব্যের সমাহার।
১০ টাকার টোকেন নিয়ে নিজের চাহিদা মতো বাজার করবেন অসহায় দুস্থ মানুষেরা। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের তদারকিতে ১০ টাকার বাজারে চলছে অস্বচ্ছল, বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের কেনাকাটা। মূলত দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় প্রতি মাসে একবার এই বাজারের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।
এ সময় বাজার করতে আসা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মো. আজগর আলী বলেন, ১০ টাকার বাজারে এসে খুব ভালো লাগছে। বাজারে ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২২০ টাকা যা আমাদের মতো গরিব মানুষেরা এখানে পাচ্ছে মাত্র ৪ টাকায়। বয়লার মুরগি ২৬০ টাকা কেজি এখানে পাচ্ছি ৪ টাকায়। ২ টাকায় পাচ্ছি ১ কেজি মাছ। ১ টাকায় পাচ্ছি ১ হালি ডিম। এক প্যাকেট ফ্যামিলি সাইজের নুডলস পাচ্ছি ১ টাকায়। এ বাজারের ব্যবস্থা করায় সত্যি খুব খুশি হয়েছি। আজ বহুদিন পর পেট ভরে খেতে পারবো।
এ সময় মোছা. গোলাপী বেগম বলেন, ১০ টাকা দিয়ে ব্যাগ ভর্তি বাজার করলাম। এখানে যে এত কম দামে চাল, ডাল, তেল, মাছ ও ডিম পাওয়া যাবে কখনো চিন্তা করিনি। আমার মতো অনেক মানুষ উপকৃত হলো।
এদিকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, চর সুভারকুঠির প্রায় ২৫০টি পরিবার মাত্র ১০ টাকায় যে পণ্যগুলো কিনতে পারবেন তার বাজার দর প্রায় ৬০০-৭০০ টাকা হলেও নিজেই কেনার স্বাধীনতা তৈরি করতে এ আয়োজন। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ বলেন, এ উদ্যোগে তৃণমূলের মানুষের উপকার হবে এবং তাদের পুষ্টির চাহিদা মিটবে।