একসময় ঢাকায় থাকার জায়গা ছিল না, বাসস্ট্যান্ডে রাত কাটিয়েছি: রাজ

শরিফুল রাজ। এখন দর্শকের কাছে পরিচিত এক নাম। তবে অর্ধযুগ আগে র‌্যাম্প মডেলিং দিয়ে শোবিজে পথচলা শুরু তার।

শরিফুল রাজ প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১৬ সালে ‘আইসক্রিম’ সিনেমায় অভিনয় করে। সেখানে তার বিপরীতে ছিলেন নাজিফা তুষি। এরপর ২০১৯ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘ন ডরাই’। এতে রাজের নায়িকা ছিলেন সুনেরাহ বিনতে কামাল।

এছাড়া মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’-তে রাজের অভিনয় দর্শকরা দারুণ পছন্দ করেন। চলতি বছর ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’-এ ভিন্ন রূপে হাজির হন তিনি। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে ‘পরাণ’ সিনেমার দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকের মন এরইমধ্যে জয় করেছেন এই তরুণ মেধাবী নায়ক।

রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমায় দর্শকরা তাকে একজন অভিনেতা হিসেবে আবারো নতুন করে চিনলেন। সিনেমা, ওয়েব প্ল্যাটফর্ম সবখানেই চুটিয়ে কাজ করছেন। এছাড়া তার অভিনীত ‘হাওয়া’ সিনেমাটিও ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেছে।

গতকাল শুক্রবার ছিল ঢাকাই ছবির বর্তমান আলোচিত এই নায়কের জন্মদিন। সন্তানের সঙ্গে প্রথম জন্মদিন এটি তাঁর। জানালেন ১২টা ১ মিনিটে স্ত্রী পরী ও তিন মাসের সন্তান রাজ্যকে নিয়ে বাসায় কেক কেটেছেন রাজ।

একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিয়ে, সন্তান—এসবের আগে আমি যখন একা ছিলাম, তখন আমার মতো করে আড্ডা মেরে, ফুর্তি করে জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছি। কিন্তু এবার একেবারেই নিজের মতো করে আমরা তিনজন বাসায় জন্মদিনের কেট কেটেছি। বাইরের কাউকে রাখতে চাইনি। নিজের জন্মদিন নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছি। এমনকি জন্মদিনের কেক কাটার ছবিও তুলিনি আমরা।’

জন্মদিনের পুরো দিনটিই পরিবারের তিনজন মিলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন রাজ। জানালেন পরিবার হওয়ার আগে একসময় ধানমন্ডি ১৫ নম্বর, রবীন্দ্রসরোবর, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা মেরে, গল্প করে সময় কেটেছে তাঁর। জন্মদিনে তিনজন মিলে সেসব জায়গায় ঘুরেছেন।

বলেন, ‘আমি একসময় যেসব জায়গা থেকে এ পর্যায়ে উঠে এসেছি, জায়গাগুলো আমার পরিবারের সদস্যদের দেখিয়েছি। কারণ, আমি খুবই স্মৃতিকাতর মানুষ, আবেগপ্রবণ মানুষ।’

এ প্রসঙ্গ ধরে রাজ আরও বলেন, ‘একসময় ঢাকায় আমার থাকার জায়গা ছিল না। মহাখালীসংলগ্ন একটি শুটিং হাউস ছিল পরিচালক রেদওয়ান রনি ভাইয়ের। ওখানেই রাতে ঘুমাতাম। যেদিন রাতে হাউসে শুটিং থাকত, আমি মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে একটি জায়গায় সেদ্ধ ডিমের দোকানে শুটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত সময় কাটাতাম। এভাবে অনেক দিন ভোররাতে গিয়ে হাউসে ঘুমিয়েছি।’