প্যারালাইসিসে তাসরিফের মুখ বাঁকা হয়েছে, এটা হলো অহঙ্কারের পতন: হিরো আলম

ফেসিয়াল প্যারালাইসিসে আক্রান্ত সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন এই সংগীতশিল্পী।

এরপরই তাসরিফের সুস্থতা কামনা করেছেন তার ভক্তরা। বিভিন্নভাবে এই তারকার প্রতি ভালোবাসাও প্রকাশ করেছেন তারা।

কিন্তু এরই মধ্যে তাসরিফকে নিয়ে বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করলেন আলোচিত ব্যক্তিত্ব হিরো আলম। তাসরিফের প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়াকে অহঙ্কারের কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এতে অহঙ্কারের পতন ঘটেছে।

শুক্রবার রাতে লাইভে এসে হিরো আলম বলেন, ‘আল্লাহপাক চাইলে মানুষকে পতন করতে পারে, এক মিনিটে। আপনারা সবাই জানেন তারই একটা চাক্ষুস প্রমাণ তাসরিফ খান। সে কিন্তু খুব ভালো গান গায়, সিঙ্গার। আল্লাহ্পাক তার কণ্ঠ ভালো দিয়েছে। আজকে তার মুখের অবস্থা কী করেছে, দেখেছেন? প্যারালাইসিসে মুখ বাঁকা হয়ে গেছে। এটা হলো অহঙ্কারের পতন।’

তাসরিফের প্রতি তার এই মনোভাবের কারণ উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, ‘কিছু দিন আগে চাঁদপুরে একটা প্রোগ্রামের কথা ছিল আমার। সেখানে আমি ছিলাম, তাসরিফ ছিল, আরও অনেকে ছিল। এই তাসরিফ যখন শুনেছে আমি ওই প্রোগ্রামে যাব, সে বলেছে— হিরো আলম ওখানে গেলে আমি প্রোগ্রামে যাব না। এই তাসরিফ কিন্তু একদিন এটা বলেছিল। আজকে তার অবস্থা দেখেছেন?’

তিনি আরও বলেন, আবার সুন্দরী কিছু নায়িকা আছে দেখবেন, অনেক হিরোও আছে, তারা হিরো আলম থাকলে অভিনয় করবে না, অনেকেই কিন্তু বলেছে, দেখবেন। অনেক নায়িকাই বলেছে- তার বডি ফিটনেসের সঙ্গে যায় না, চেহারার সঙ্গে যায় না। কিছু লোক বলেছে- হিরো আলম কীসের হিরো। আমি তাদেরকে ধিক্কার জানাই— আমি যদি কোনো ভালো কাজ করে থাকি আল্লাহ্র কাছে বলি তাদের প্যারালাইসিস দিয়ে দেও আল্লাহ।’

সংগীতশিল্পী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ছিলেন তাসরিফ খান। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি তিনি গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘কুঁড়েঘর’। তার ব্যান্ড থেকে প্রকাশিত ‘তাই তো আইলাম সাগরে’, ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’, ‘আমি মানে তুমি’সহ এমন অনেক গান ভক্ত-শ্রোতার হৃদয় ছুঁয়েছে।

তাসরিফ ব্যাপক পরিচিতি পান ২০২২ সালে সিলেটের বন্যাদুর্গত বিপর্যস্ত মানুষদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে ফেসবুকে লাইভ করে। সেই লাইভ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ওই সময় কোটি টাকার বেশি ফান্ড সংগ্রহ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘বাইশের বন্যা’ নামের একটি বইও লিখেছেন। এবার বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে সেটি।