ম্যারাডোনার সঙ্গে স্বর্গে ফুটবল খেলবেন পেলে!

ফুটবলে পেলে না ম্যারাডেনা সেরা? এমন প্রশ্ন ও উত্তর শুনে আপনি হয়তো ক্লান্ত। একেকজন একেকভাবে সেরা বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।

তবে যতই তর্ক বা বিতর্ক থাকুন না কেন এমন প্রশ্ন বা উত্তর শুনতে কখনও খারাপ লাগার কথা নয়। কেননা ফুটবল বিশ্বের দুই গ্রেট ফুটবলারকে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। যাদের ঝুলিতে রয়েছে রঙিন ফুটবলের বড় সাম্রাজ্য। যারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাকে করেছেন আলোকিত।

দুই বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক দিয়েগো ম্যারাডোনা। এবার তার পথ অনুসরণ করলেন তিন বারের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার পেলে।

যারা পুরো নাম এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। হয়তো তারা এখন আকাশেই ফুটবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন! দুই বছর আগে ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর পেলে নিজেই বলেছিলেন, ‘একদিন আশা করছি স্বর্গে একসঙ্গে ফুটবল খেলবো আমরা।’

পেলে কী তখন জানতেন মাত্র দুই বছরের মধ্যে আকাশে পাড়ি জমাবেন তিনি। জীবন্ত এক কিংবদন্তীর শেষ বিদায় হবে। কাতার বিশ্বকাপের সময় পেলে অসুস্থ হয়ে পড়লেও হয়তো সেখানে চূড়ান্ত শোকের ছায়া নামেনি। বিধাতা হয়তো বিশ্বকাপের রঙয়ে শোকের ছায়া নামতে দেননি। ডাক্তাররা তো তখন আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কোনও কিছুই যে তার শরীরে কাজ করছিল না। শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা।

শেষ পর্যন্ত সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী পেলে। তিন বার বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালে। বিশ্বের আর কোনও খেলোয়াড়ের এমন বিড়ল রেকর্ড নেই। ১৯৫৮ সাল এবং ১৯৭০ সালের ফাইনালে গোলও করেছিলেন পেলে।

ব্রাজিল জাতীয় দল ছাড়াও সান্তোস ও নিউইয়র্ক কসমসসহ সব জার্সিতেই আলো ছাড়িয়েছেন ‘কালো মানিক’। ১২শ’ এর ওপর গোল করে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। যেই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি। পেলে খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ব্রাজিলের ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রীও হয়েছিলেন। ব্রাজিলকে বিশ্ব জগতে চেনানোর পিছনে তার বড় অবদান রয়েছে। পেলেকে ব্রাজিলের ভক্তরা মনের উচুঁ জায়গায় রেখেছেন।

১০টি বিশ্বকাপ কভার করা ৭০ বছর বয়সী ক্রীড়া সাংবাদিক বাতিস্তা তো কাতার বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘এই শতকের সেরা ক্রীড়াবিদ পেলে। কারণ ও এক হাজার গোল করেছে। এছাড়া জাতীয় দলের হয়ে ৮৪ গোল করেছে। সে অতি সাধারণ একটা মানুষ। সবার সঙ্গে মিশতে পারে। সবাইকে সম্মান করে। কাউকেই এড়িয়ে যায় না।’