এর আগে গত ইউরোর ফাইনালে টাইব্রেকারে গোল মিস করার পর বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের মার্কাস রাশফোর্ড, বুকায়ো সাকা ও জেডন সাঞ্চো।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের পর একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন কিংসলে ক্যোমান, অউরিলিয়ে শুয়েমিনি ও রান্ডাল কোলো মুয়ানি।
আর্জেন্টিনার কাছে হেরে শিরোপা খোয়ানোর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ফ্রান্সের এ তিন তারকা।
গত রবিবার ১৮ ডিসেম্বর কাতার বিশ্বকাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফ্রান্স। ৪-২ ব্যবধানে জিতে ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। তাতে ভেঙে যায় ফ্রান্সের টানা দ্বিতীয় শিরোপার স্বপ্ন। ফ্রান্সের হয়ে স্পটকিক মিস করেন কিংসলে ক্যোমান ও অউরিলিয়ে শুয়েমিনি।
এর আগে অতিরিক্ত সময়ের অন্তিম মুহূর্তে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি কোলো মুয়ানি।
শিরোপা খোয়ানোর পর ফরাসি সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন ফ্রান্সের এই তিন তারকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন তারা। ইনস্টাগ্রামে তাদের বর্ণবাদী বার্তা ও হুমকি প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য অ্যাথলেটিক। মেটার এক মুখপাত্র অ্যাথলেটিককে জানান, তারা ইনস্টাগ্রামে বর্ণবাদী মন্তব্যকে প্রশ্রয় দেন না। তাদের আইন ভাঙার কারণে সে সকল মন্তব্য ও বার্তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি আর বলেন, ‘আমরাও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মানুষকে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত গালাগালির হাত থেকে রক্ষা করতে চাই, যার জন্য আমরা কিছু লুকানো শব্দের উন্নয়ন করছি, এটা এমন একটা ফিচার যা আক্রমণাত্মক মন্তব্য ও বার্তাকে ফিল্টার করবে। যারা আপনাকে অনুসরণ করেন না বা সম্প্রতি অনুসরণ শুরু করেছে, তাদের থেকে মন্তব্য ও বার্তা গোপন করবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘রোববারের ফাইনালের পর থেকেই আমরা এই খেলোয়াড় ও তাদের দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছি, তাদের সমর্থন করছি এবং এসব টুলস চালু করতে সাহায্য করছি। রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার শুয়েমিনি ইনস্টাগ্রামে তার পোস্টের মন্তব্য সীমিত করে রেখেছেন। ফ্রাঙ্কফুর্টের কোলো মুয়ানি মন্তব্য করার সুযোগই বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে, বায়ার্ন মিউনিখের ক্যোমান এখনো চালু রেখেছেন মন্তব্য করার সুযোগ।
এদিকে ক্যোমানকে সমর্থন জানিয়ে এরই মধ্যে বিবৃতি দিয়েছে তার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। সে বিবৃতিতে তারা লিখেছে, ‘এফসি বায়ার্ন ক্যোমানের প্রতি করা বর্ণবাদী মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। এফসি বায়ার্ন পরিবার তোমার পাশে আছে, কিং। আমাদের খেলায় কিংবা আমাদের সমাজে বর্ণবাদের কোন জায়গা নেই।’ ইউরোপের ফুটবলে বর্ণবাদ বড় সমস্যাগুলোর একটি। এর আগে ইউরো ২০২০ এর ফাইনালের পর বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের তিন তারকা রশফোর্ড, সাকা ও সাঞ্চো।