এবার বিপিএলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সাকিব আল হাসান যা বলেছেন, সেটির পক্ষে মত দিয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও।
পাশাপাশি কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। বিপিএলকে প্রত্যাশিত জায়গায় নিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে টুর্নামেন্টের রেভিনিউ শেয়ারিং করার উপর জোর দিয়েছেন বিপিএলের নতুন দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক।
বিপিএলের নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আগামীকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে সিলেট।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু দুপুর আড়াইটায়। ম্যাচের আগেরদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মাশরাফী। সেখানেই উঠে আসে বিপিএলের অসঙ্গতি নিয়ে সাকিবের নানা মন্তব্যের প্রসঙ্গ।
এদিকে মাশরাফী বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, শুরু থেকেই আমাদের সমন্বয়টা ভালো হয়নি। মিডিয়ার সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ড, বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়— ত্রিমুখী একটা বিষয় ঘটেছে। প্রথমত, বিপিএল নিয়ে কেউই ইতিবাচক ছিল না মিডিয়ায়। তারপর যদি দেখেন, খেলার মাঠে যখন এসেছে, টি–টুয়েন্টি ফরম্যট তখন ওই জায়গায় ছিল না। এ নিয়ে কিন্তু অনেক আলোচনা হয়েছে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক সারাবিশ্বের সবাই এগিয়ে গেছে। তাদের দেশের মিডিয়াও নিজ দেশের টুর্নামেন্টকে প্রমোট করছে সারাবিশ্বে। আমরা হয়তো তা পারিনি। এখানে একতরফা বললেই হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জও আছে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে হয়তো মার্কেট ভ্যালু যে উপরে উঠালে আরও উপরে উঠতে পারে, এই যে কাজটা হয় তা তো আমরা করে দেখিনি। আল্টিমেটলি আমাদের ক্রিকেটের একটাই সমস্যা, জাতীয় দলের বাইরে আর কোনো দল নেই। এটা হচ্ছে আমাদের প্রথম সমস্যা। জাতীয় দলকে যে তৈরি করে বাইরের অন্যান্য সব দল। শুধু বিপিএল না, সব জায়গায় আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের সমস্যা হল এখন সামনে আসছে তা, শেষ হলে পেছনেরটুকু ভুলে যাবো।’
মাশরাফী বলেন, ‘এতকিছু সাকিব বলেছে, আমিও কিছু না কিছু বললাম। এই যে পরবর্তী বছর যদি ছয় মাস আগে পরিকল্পনা করে, যেহেতু ৩ বছরে জন্য দলগুলো দিয়েছে। এটা ভালো দিক হয়েছে। অন্তত ৩ বছরের জন্য নিয়েছে। দলগুলো এখন ক্লিয়ার, দলগুলোকে সমর্থন করতে হবে। কোন উপায়ে সমর্থন করবে, দলগুলো কী চায়, তারা বিপিএল গভর্নিং বডির সঙ্গে বসলে কিন্তু সমাধান হয়। টুর্নামেন্টের ৩ মাসে একটা নিলাম, তারপর টুর্নামেন্টের আগে মাঠে অনুশীলন করে এভাবে পরিবর্তন হবে না।’
মাশরাফী আরও বলেন, ‘কাজ না করলে তো বোঝা যাবে না। এটা তো দীর্ঘ সময়ের একটা কাজের ব্যাপার। মার্কেট ভ্যালু কতটুকু, আপনার দলের কাছে স্পন্সরশিপ কতটুকু আসতে চাচ্ছে, এগুলোতো দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। একটা দল যখন জানে যে, আমি এই দলটার মালিক, আমি পরবর্তী ১০ বছর–৭ বছর এটার মালিক। তখন সে দুই বছর লস করতে পারে। ঠিক আছে, আমি আমার দলকে নিয়ে কাজ করব, মার্কেটে প্রমোট করব, ডিসিপ্লিন ওয়েতে, তখন কিন্তু তার যে ২ বছরে প্রফিট সে চলে যাবে।’
মাশরাফী বলেন, ‘এটা তো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য ব্যবসা। বিজনেসে যদি আপনি লাভ না করেন ঠিক আছে, ক্ষতি হয়ে গেলে তো সমস্যা। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এজন্য দীর্ঘ সময় স্থায়ী হতে পারছে না। তবে যদি আদর্শ ব্যবস্থাপনা করা হয়, যেটা সাকিব বলেছে, আমার কাছেও মনে হয়, অন্তত ৭, ৫ বা ১০ বছর যেটার যে মালিক, তাদের সঙ্গে টিম করা। নির্দিষ্ট তারিখে করা। তখন কিন্তু অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব।’