ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া বাজারে ‘আড্ডা ক্যাফে’ নামের একটি দোকানে জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি ‘মটকা চা’র। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতারা।
আড্ডা ক্যাফের মালিক স্থানীয় হাসিবুল ইসলাম অনু নামের এক যুবক। ইউটিউব দেখে মটকা চা তৈরির কৌশল রপ্ত করেছেন তিনি।
হাসিবুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইউটিউব দেখে শেখেন ইন্ডিয়ান তান্দুরি মটকা চা তৈরির কৌশল। তারপর ঢাকায় গিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে এসে বাজারে ‘আড্ডা ক্যাফে’ নামের দোকানটি গড়ে তোলেন। প্রথম দিকে চাহিদা কম থাকলেও বর্তমান প্রতিদিনই তার দোকানে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা ছুটে আসছেন।
মটকা চা তৈরিতে প্রয়োজন হয় গরুর দুধ, গুড়া দুধ, এলাচ, কয়েক ধরনের মসলা একত্রে করে তৈরি বিশেষ মসলা, কাজু বাদাম, গুঁড়া চা পাতি ও চিনি। মটকা চা বানানো হয় টিন, মাটির বানানো ড্রামের মতো দেখতে বিশেষ চুলায়। এর মধ্যে কয়লার আগুনে অথবা গ্যাসের আগুনে পোড়ানো হয় মাটির ছোট্ট মটকা।
স্টিলের কেটলিতে আগে থেকে তৈরি করে রাখা হয় বিশেষ মসলার দুধ চা। ক্রেতার অর্ডার এলে তামার পাত্রে জ্বলন্ত মটকা (মাটির তৈরি কাপ) রেখে তাতে চা ঢালা হয়। মটকার তাপে চা ফুটতে থাকে, বের হয় ধোঁয়াটে সুবাস। এভাবেই ভিন্ন স্বাদের মটকা চা তৈরি করা হয়।
হাসিবুলের দোকানে দুই ধরনের মটকা চা পাওয়া যায়। একটির মূল্য ৮০ টাকা, অপরটির ৬০ টাকা। শুধু মটকা চা নয়, বিভিন্ন স্বাদের অন্যান্য চাও পাওয়া যায় তার দোকানে। যেমন- রং চা, দুধ চা, স্পেশাল দুধ চা, মালাই চা ইত্যাদি।
হাসিবুল ইসলাম অনু জাগো নিউজকে বলেন, ‘এসব চা বিক্রি করে বর্তমানে আমি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছি। সংসার নিয়ে ভালোই কাটছে।’
মাস্টার্সের ছাত্র মো. ইমন বলেন, বন্ধুদের কাছে এই চায়ের গল্প শুনেছি। তারপর বন্ধুরা মিলে মোটরসাইকেলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই চা পান করতে এসেছি। চায়ের স্বাদটা আসলেই অসাধারণ।
চা পান করতে আসা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমি মটকা চা পান করে দেখেছি। আসলেই স্বাদটা জিভে জল আসার মতো। বিশেষ এই চা পান করতে প্রায়ই এখানে ছুটে আসি।