বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েও যেনো হননি জায়েদ খান। পদটি নিয়ে নিপুণ আর জায়েদ খানের মধ্যে কোর্ট-কাচারি কম হয়নি। এখানে শেষ হাসিটা নিপুণই হেসেছেন। চেয়ার রয়েছে তার দখলেই।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের চেয়ার হারানোর পর অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন জায়েদ খান সদস্য পদটাও বুঝি হারাচ্ছেন। দেরিতে হলেওসে ধারণাই সত্যি হতে চলেছে। কাঞ্চন-নিপূণ পরিষদ দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পর স্থগিত হচ্ছে জায়েদ খানের সদস্যপদ।
আগামী রোববার সমিতির জরুরী সভা ডেকেছে শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি। যে মিটিংয়ের মূল আলোচনার বিষয় জায়েদ খান। সূত্রের বরাতে জানা গেছে ঘন্টা দুইয়ের মতো চলা সভা থেকে আসবে জায়েদ খানের সদস্য পদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত। যদিও এ নিয়ে আগাম কোন মন্তব্য করছেন না সমিটির কোন সদস্য। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন।
এ নিয়ে জায়েদ খানের সাথে কথা হলে আপাতত এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে নারাজ বলে জানান তিনি। তারা শুরু থেকেই আমার সঙ্গে অন্যায় করে আসছে। তারা নায়ক রুবেল ভাই ও সূচরিতা ম্যাডামের মত বড় তারকাদেরও সদস্যপদ স্থগিতের চিঠি দিয়েছে। কতটা অসম্মান এটা ভাবুন।
সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, জোর করে সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব নেওয়া নিপুণের গঠন মূলক সমালোচনা করেছি বলেই তিনি আমার সমদ্যপদ বাতিলের পায়তারা করছে।
২০০৮ সালে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন জায়েদ খান। এরপর দুই মেয়াদে ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ২০২২ অনুষ্ঠিত প্রাথমিকভাবে তিনি বিজয়ী হলেও অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ বাতিল হয়।
পরিকল্পনা ছিলো আসছে বছর নির্বাচনে আবারও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন জায়েদ খান। কিন্তু রোববারের সভায় যদি সদস্যপদ স্থগিত হয় তবে অনিশ্চিত হবে তার নির্বাচন।