বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে দেয়া দেশের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদের দ্বিতীয় পুরস্কার প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
যদিও অনুষ্ঠানের মঞ্চে কাজী সালাউদ্দিন স্পোর্টিং স্পিরিটে জুরি বোর্ডের রায় মেনে নেয়ার কথা বলেছিলেন।
গত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) তাদের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের সেরা ক্রীড়াবিদদের বাছাই করে।
সেখানে প্রথম পুরস্কার পান সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় হন বাফুফে ও সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ হন তৃতীয় সেরা ক্রীড়াবিদ।
কিন্তু বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন দ্বিতীয় হওয়ায় শুক্রবারই (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। এমনকি সেরা দশ ক্রীড়াবিদকে নিয়ে এক মঞ্চে তোলা ছবির সময়ও তিনি ছিলেন অনুপস্থিত।
আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বাফুফের নির্বাহী কমিটির সাধারণ সভায় কাজী সালাউদ্দিনের ব্যক্তিগত পুরস্কারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সালাউদ্দিনের ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রত্যাখানের বিষয়টিও বাফুফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে। বাফুফের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সালাউদ্দিনকে দ্বিতীয় সেরা করায় এটিকে প্রহসনের পুরস্কার এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে অবমাননার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়।
বাফুফে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম খেলোয়াড়, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের টানা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে প্রদত্ত ‘দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়াবিদ’ এর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাফুফে আরও জানায়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে উক্ত প্রহসনের পুরস্কার প্রদান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে অবমাননা করার শামিল। একইসঙ্গে ক্রীড়াঙ্গন তথা ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অবমাননাকর।
বছরের শেষ দিন বাফুফের কার্যনিবাহী কমিটির সভা। এই বছরের ফুটবলের পর্যালোচনা ও আগামীর পরিকল্পনা কেমন হবে এমনটা জানতে শীতের বিকেলে সাংবাদিকদের ভিড় ছিল ফেডারেশনে। বাফুফের মিডিয়া উইং থেকেও কয়েকবার দাওয়াত দেয়া হয়েছিল এই মিটিং কাভারের জন্য।
নির্ধারিত সময় সভা শুরু হয়। আড়াই ঘণ্টা সভা চলার পর বাফুফের মিডিয়া অফিসার খালিদ মাহমুদ নওমীর ঘোষণা, আজ কোনো মিডিয়া ব্রিফিং হবে না। বাফুফেতে ছোটখাটো সাব কমিটির সভার পরেও মিডিয়া ব্রিফিং হয় সেখানে নির্বাহী সভায় ব্রিফিং নেই। এর পেছনেও কারণ সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় হওয়া। ব্যক্তিগত পুরস্কারের বিষয়টি ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করায় সাংবাদিক ও ক্রীড়া মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।