‘সালাউদ্দিন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন, বাফুফের পদ প্রত্যাখ্যান করেন না কেন?’

বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ১০ ক্রীড়াবিদ নির্বাচন করে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)। সেখানে দ্বিতীয় হয়েছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

সেই পুরস্কার তিনি গত শুক্রবার গ্রহণও করেছেন। তবে পুরস্কার গ্রহণের একদিন পরই তা প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

আর তাতেই ফের আলোচনায় দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই কর্তা। তিনি কেন পদত্যাগ করছেন না এ নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। নেটিজেনদের অনেকেই এক হাতে নিচ্ছেন বাফুফে ও সালাহউদ্দিনকে। কেননা এ সম্মাননা বিএসপিএ দিয়েছে ব্যক্তি সালাউদ্দিনকে। কিন্তু বাফুফে এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে!

কাজী সালাউদ্দিন দেশের ফুটবলের সুপারস্টার ছিলেন। কিন্তু বাফুফে সভাপতি হিসেবে তিনি ততটাই ব্যর্থ এবং সমালোচিত। তাই দ্বিতীয় হওয়ার কারণে পুরস্কার বর্জন করায় তাকে নিয়ে সোশ্যাল সাইটে চলছে সমালোচনা। শুরু হয়েছে হাস্যরস।

ওয়াহেদ মুরাদ নামের একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ পুরস্কারে কাজী সালাউদ্দিন দ্বিতীয় হয়েছেন এবং সেটা তিনি বাফুফের সভা করে সভার মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়েছেন। তিনি আদৌ দ্বিতীয় হওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন কি না সেটা নিয়েই আলোচনা করার সুযোগ আছে!’

মাহতাব হোসেন লিখেছেন, ‘সালাউদ্দিন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন, বাফুফের পদ প্রত্যাখ্যান করেন না কেন?’ গোলাম রব্বানী খান লিখেছেন, ‘তাকে তো ১০০০ জনের তালিকায় স্থান দেওয়া ঠিক হবে না। সে ভালো সংগঠক নয়।’

সৈয়দ কফিল উদ্দিন লিখেছেন, ‘বাফুফে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। একজন মানুষ বছরের পর বছর চেয়ার ধরে বসে আছে, কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবলের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ’ এম এ কবির লিখেছেন, ‘পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সাথে ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলে ভালো হতো।’

উল্লেখ্য, বাফুফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির ষষ্ঠ নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের কাজী মো. সালাউদ্দিনকে প্রদত্ত দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়াবিদ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সালাউদ্দিনের মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি কিনা একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন, তাকে দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার দেওয়াটা প্রহসনের শামিল। এটা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে অবমাননা এবং একই সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গন তথা ফুটবলসংশ্লিষ্ট সবার জন্য অবমাননাকর।’