আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমি প্রটোকল পছন্দ করি না এবং নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগি না। আমি নিজ দায়িত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে পৌঁছে যাব।
বৃহস্পতিবার (২মার্চ) দিনগত রাতে মাশরাফির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি স্টাটাসের মাধ্যমে এসব কথা বলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। স্টাটাসে মাশরাফি লিখেছেন-
সম্মানিত এলাকাবাসী,
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নভিত্তিক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত, অভাব-অভিযোগ, প্রত্যাশার কথা শুনছি, যার মাধ্যমে আমি সরাসরি আপনাদের মনের কথাগুলো জানতে পারছি এবং আমার কথাগুলোও সরাসরি আপনাদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছি।
সেই ধারাবাহিকতায়- ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮ নং দিঘলিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া বাজার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। ৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৯ নং মল্লিকপুর ইউনিয়নের পাচুড়িয়া হাই স্কুল মাঠে। আগামী ৪ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ৭ নং লোহাগড়া ইউনিয়নের কালনা ফেরী ঘাটে ‘জনতার মুখোমুখী জনতার সেবক’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রিয় এলাকাবাসী,
আপনারা জানেন, আমি প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে ছুটে যাচ্ছি। যখন যে ইউনিয়নে যাচ্ছি, সেখানে একান্তই ওই ইউনিয়নের জনসাধারণের কথাগুলো শুনতে চাই, যেন একজন মানুষ কোনপ্রকার বাঁধাবিপত্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে সরাসরি আমার সাথে তার কথাগুলো বলতে পারেন।
সবার সামনে না বলা গেলে লিখিতভাবে গোপনে আমাকে দিতে পারেন, এই পরিবেশটি বজায় রাখার জন্য আয়োজকদের আমি বরাবরের মতো এবারও অনুরোধ করছি। কেউ যেন কথা বলতে এসে ফিরে না যান, আয়োজকদের এবিষয়ে খেয়াল রাখতে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
আমি আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করেছি, আমি যখন যেখানে যাই, উচ্চ শব্দে হর্ণ বাজিয়ে বেপরোয়াভাবে একদল মানুষ মোটরসাইকেলের একটি বিরাট বহর নিয়ে পথচারীদের কষ্ট দিতে দিতে গিয়ে আমাকে রিসিভ করতে আসে এবং একইভাবে আমাকে নিয়ে সভাস্থলে যায়। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আমাকে এভাবে রিসিভ করার কোন প্রয়োজন নাই। এবিষয়ে আমি সম্মানিত বোধ করা তো দূরের কথা বরং সবসময় বিব্রত হই।
আমার নড়াইলের সচেতন জনসাধারণও এটি কখনোই পছন্দ করবেন না। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমি প্রটোকল পছন্দ করি না এবং নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগি না যে, আমাকে এভাবে রিসিভ করা লাগবে। আমি নিজ দায়িত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে পৌঁছে যাবো।
আপনারা যদি কেউ যেতে চান, সরাসরি সভাস্থলে চলে যাবেন, ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে কথা বলবেন, না হলে কখনো এমন পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না যেন আপনার/ আপনাদের কারণে ওই ইউনিয়নের জনসাধারণ আমার সাথে কথা বলা থেকে বঞ্চিত হন এবং মহোত্তম এই সভাটি আপনার/আপনাদের কারণে কোনপ্রকারে নষ্ট হয়। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, যখন যে ইউনিয়নের এই সভায় আমি যাবো তখন সেই সভাটি একান্তই ওই ইউনিয়নের জনসাধারণের জন্য সংরক্ষিত।
সার্বিক এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে আমি সংশ্লিষ্টদের আবারো অনুরোধ করছি।