বগুড়া-৪ আসন এবং বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর হিরো আলম দাবি করেন, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। তবে ফলাফল সুষ্ঠু হয়নি।
তিনি হারেননি, তাকে হারানো হয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে যাওয়ারও ঘোষণা দেন। এবার ফলাফল সুষ্ঠুভাবে হলো না কেন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইলেন তিনি।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার রাখেন হিরো আলম।
প্রথমেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য নিয়ে কথা বলেন হিরো আলম। বলেন, ওবায়দুল কাদের স্যার মন্তব্য করেছেন, আমাকে নাকি বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। আমার কথা, আমাকে কেন বিএনপি দাঁড় করিয়ে দেবে। আমি তো বিএনপির কোনো ব্যানার নিয়ে নির্বাচন করিনি। ভোটের দিন কি বিএনপির কোনো লোকজন ছিল? তাদের (বিএনপি) কেউ মাঠে বা পাশে ছিল? ছিল না।
তিনি বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। আমাকে কিন্তু বিএনপি দাঁড় করিয়ে দেয়নি। এটা আপনারা সবাই জানেন। এদিকে আজকে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার বলেছেন, ‘এই সরকার এখন অসহায় হয়ে পড়েছে’। আমার কথা, সরকার অসহায় হয়ে পড়েছে কিনা আমি জানি না। আমি হিরো আলম যে অসহায় হয়ে পড়েছি, এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে? আমার যে ভোটের ফলাফল কেড়ে নেয়া হলো, এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে? আমি কার কাছে বিচার দেব? আমি যাদের কাছে বিচার দিচ্ছি তারা তো বিচারের ফলাফল দিচ্ছে না।
হিরো আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলব, সবার বিচার তো আপনি করেন। আমিও আপনার কাছে বিচার দিলাম, আমার ভোট সুষ্ঠুভাবে হলো কিন্তু ফলাফল সুষ্ঠু হলো না কেন? আমি এর বিচার চাই।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে হিরো আলম আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের স্যার বলেছেন, ‘হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে।’ এটা ভুল বলেছেন। হিরো আলমকে কেউ কোনোদিন জিরো বানাতে পারে না। হিরো হিরোই থাকে। আমাকে কেউ জিরো বানাতে পারেনি, পারবেও না।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ভোটগ্রহণে বগুড়া-৪ আসনে ১৯ হাজার ৫৭১ এবং বগুড়া-৬ আসনে ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পান হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন। অর্থাৎ, হিরো আলম ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।