শাবানার সিনেমায় শাকিবের নায়িকা বলিউডের কাজল!

শাকিব খান ও বলিউডের কাজলকে জুটিবদ্ধ করে সিনেমা করতে যাচ্ছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের পর্দা দখল করে থাকা অভিনেত্রী শাবানা।

আরেকটু পরিস্কার করে বললে, বলা যায় শাবানার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ঢাকাই চলচ্চিত্রে আবার ফিরছে। আর এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম সিনেমা হবে তাকা লাগানো।

এই তথ্য জানিয়েছেন শাবানার স্বামী ও এস এস প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ওয়াহিদ সাদিক। শাবানা এবং তার স্বামী প্রখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক। ১৯৯৭ সালের দিকে চলচ্চিত্র জগত ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হন তারা।

এরপর প্রায় প্রতিবছরই দেশে আসলেও নির্মাণে ফিরতে পারেননি। বর্তমানে ঢাকার চলচ্চিত্র ফের উজ্জীবীত হয়ে ওঠায় দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পরে আবার চলচ্চিত্র নির্মাণে ফিরছেন এই দম্পতি। তবে এবার তারা ভারতের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণ করবেন।

এই তথ্য জানিয়ে ওয়াহিদ সাদিক বলেন, দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রাণ ফেরাতে আবার নির্মাণে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নাম চূড়ান্ত না হওয়া সিনেমায় অভিনয় করবেন শাকিব খান ও বলিউড থেকে কাজল অথবা বিদ্যা বালান। এর আগেও প্রযোজনা সংস্থা এস এস প্রোডাকশন থেকে বলিউডের চাঙ্কি পান্ডে, জয়প্রদা অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও ঋতুপর্ণা ও প্রসেঞ্জিত অভিনয় করেছেন।

তিনি জানান, চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করবেন কলকাতার পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাস। আর বাংলাদেশ থেকে একজন নির্মাতা নেওয়ার জন্য অনেকের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। এই চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রাজীব কুমার বিশ্বাস।

ওয়াহিদ সাদিক বলেন, সিনেমাটি হবে পারিবারিক, অ্যাকশন ও রোমান্টিক গল্পের। আগামী ১৬ জানুয়ারি কলকাতা যাচ্ছি সিনেমাটির নির্মাণ কাজের ব্যাপারে। তখনই নির্মাতা রাজীব কুমারকে নিয়ে নায়িকার বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফিরব।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সুত্রমতে, ওয়াহিদ জানান, সিনেমাটির শুটিং হবে বাংলাদেশ, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে। দুই বাংলার শিল্পী কলাকুশলীরা সমানভাবে এই এতে অভিনয় করবেন।

শাবানা অভিনয় করবেন কিনা? ওয়াহিদ সাদিক জানান, না, তিনি এখন আর অভিনয় করবেন না, প্রযোজনাই শুধু করবেন।

শাবানা ও ওয়াহিদ সাদিক তাদের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা এস এস প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৭৯ সালে। ওই বছর প্রথম সিনেমা নির্মাণ করেন ‘মাটির ঘর’। এটি পরিচালনা করেন প্রয়াত আজিজুর রহমান।

এরপর একে একে ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘আমি সেই মেয়ে’, ‘স্বামী কেন আসামী’সহ স্থানীয় ও যৌথ প্রযোজনায় প্রায় দুই ডজন সিনেমা নির্মাণ করেন তারা। যার বেশিরভাগই ব্যবসা সফল।