বিয়ের দাওয়াতে আংটি না আনার কারণে হামলা চালিয়ে চার অতিথিদের মারধর করা হয়েছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার চররমণী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন জান্নাত আরা (১৯), রহিমা বেগম (৩০), আবদুর রহিম (২৭) ও নাফিসা আক্তার (৩)। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতরা জানায়, চার মাস আগে হোটেল শ্রমিক রিয়াদ হোসেনের সঙ্গে বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের বাঁঙ্গাখা গ্রামের চৌধুরী মিয়ার মেয়ে জান্নাত আরার পালিয়ে বিয়ে হয়। রিয়াদ চররমণী মোহন ইউনিয়নের নুরু বেপারির ছেলে। এ ঘটনায় জান্নাতের পরিবার সদর থানায় জিডি করে। পরে সামাজিকতা চিন্তা করে পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠায়। এর পর থেকেই বিভিন্নভাবে যৌতুক দাবি করে রিয়াদ। বাধ্য হয়ে পরিবারের কাছ থেকে দুই দফা ২০ হাজার টাকা করে জান্নাত তার স্বামীকে দেয়। এর পরও রিয়াদ যৌতুকের টাকা দাবি করে।
জানতে চায় জান্নাতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে স্বর্ণের আংটি এনেছে কি না তা জানতে চাই। উত্তর না দেওয়ায় জান্নাতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতেই জান্নাতকে তার শ্বশুর নুরু বেপারী মারধর শুরু করেন। এতে বাধা দিলে জান্নাতের ভাই আব্দুর রহিম, বোন রহিমা বেগম ও ভাগ্নি শিশু নাফিসাকেও মারধর করা হয়।
আবদুর রহিম বলেন, ‘আংটি না নেওয়ায় আমাদের মারধর করা হয়েছে। পরে ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’ বক্তব্য জানতে রিয়াদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
চররমণী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামরুল সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মোমিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।