ব্যবসায় (Business) সফলতা নিজে থেকে আসে না। এর জন্য কঠোর পরিশ্রম লাগে। এর একটি উদাহরণ পানসারি গ্রুপ ।
পানসারি গ্রুপ রাজস্থানের একটি ছোট মুদির দোকান থেকে শুরু করেছিল। তবে আজ এটি এফএমসিজি বিভাগে একটি বড় নাম হয়ে উঠেছে। আজ এই গ্রুপের টার্নওভার ১০০০ কোটি টাকারও বেশি। তাহলে জেনে নেওয়া যাক পানসারী গ্রুপের যাত্রার পুরো গল্প।
পানসারি গ্রুপটি ১৯৪০ এর দশকে রাজস্থানের পাওতাতে একটি মুদি দোকান দিয়ে শুরু হয়েছিল। যেটি শুরু করেছিলেন পানসারি ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান পরিচালক শাম্মী আগরওয়ালের দাদা। তারপর ‘পানসারির দোকান’ নামে সেই মুদির দোকানের পর শাম্মীর দাদা কলকাতায় চলে আসেন। এরপর সেখানে সরিষা ও তিলের পাইকারি ব্যবসা শুরু করেন।
তবে ৮০ এর দশকের প্রথম বছরে এই ব্যবসা শুরু হয়। আসলে সে বছর প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল, যার কারণে ফসলের অনেক ক্ষতিও হয়। এ কারণে আগরওয়াল পরিবার বীজের ব্যবসা ছেড়ে ভোজ্য তেলের ব্যবসায় ঝুঁকে পড়ে।
দিল্লিতে কাজ
শাম্মির দাদার পর বাবা দিল্লিতে এসে ভাড়ায় কারখানা নেন। এতে ভোজ্যতেল তৈরি শুরু করার পর নব্বইয়ের দশকে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। ২০০৫ সাল নাগাদ, কোম্পানিটি উত্তর ভারতে ৭টি ইউনিট স্থাপন করেছিল। এরপর ২০১০ সালে শাম্মী পানসারী গ্রুপে যোগ দেন এবং এটিকে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করার চিন্তা করেন।
পানসারী ব্র্যান্ডেড সরিষার তেল
শাম্মীর আগমনের পর পানসারী গ্রুপ পানসারি ব্র্যান্ডেড সরিষার তেল বাজারে নিয়ে আসে। এখান থেকেই ভাগ্য পাল্টে যায় এই গ্রুপের। শাম্মী ফরচুনের মতো ব্র্যান্ডের তালিকায় যোগ দিতে চেয়েছিলেন।
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বহুবার
ব্যবসায়ও লোকসান হয়েছে শাম্মীর। এমনও হয়েছে যে অনেকে মাল নিয়ে টাকা দেননি। শাম্মী একটা বিশেষ কাজ করেছেন যে তিনি শুধুমাত্র ব্র্যান্ডেড সরিষার তেলের দিকেই মনোযোগ দিয়েছিলেন। এটি তাকে অনেক সাফল্য এনে দেয়। তারপর ২০১৬ সাল থেকে পানসারি ব্র্যান্ড নামে আরও পণ্য চালু করা হয়। কোম্পানি রিফাইন্ড ভেজিটেবল অয়েল, সিরিয়াল, রাইস, ময়দা, মশলা, ইনস্ট্যান্ট ইন্ডিয়ান মিক্স ইত্যাদির মতো পণ্য প্রবর্তন করতে পেরেছে। বর্তমানে অবস্থা এমন যে, এর পণ্য ৫৭ টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
অন্যান্য ব্যবসায়ও এন্ট্রি করা হয়
এফএমসিজি-র পরে, পানসারি গ্রুপ সময়ের সাথে সাথে রিয়েল এস্টেট, শক্তি, সেগুন বাগানের মতো খাতে উদ্যোগী হয়। পানসারী গ্রুপ পূর্তি গ্রুপের নামে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করে। শাম্মী অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিং এবং ফিন্যান্সে এমবিএ, দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স এবং বেশ কয়েকটি শর্ট কোর্স করেছেন। এখন তিনি শীঘ্রই স্বাস্থ্য বিভাগেও প্রবেশ করতে চলেছেন।