বিআরটিএ’র ৫ লাখ টাকা মাফ চাইলেন হিরো আলম

বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনের আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষক মুখলিছুর রহমান।

ঘোষণা অনুযায়ী গত ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়িটি তুলেও দেন। কিন্তু এরপরই জানা যায়, গাড়িটি ১০ বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এ জন্য বকেয়া রয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।

সম্প্রতি এ বিষয়ে কথা বলেছেন হিরো আলম। বলেন, উপহার পাওয়া গাড়িটি আপাতত ঢাকায় রয়েছে। শিগগিরই বগুড়া নেয়া হবে। তারপর ওয়ার্কশপে দেব। সেখানে অ্যাম্বুলেন্স তৈরির কাজ শুরু করা হবে।

শুরুতে গাড়িটি নেয়ার জন্য যেতে চাননি তিনি। হিরো আলম বলেন, অনেকে ফোন করে বলছিল যে, গাড়িটি আপনাকে দেবে, নিয়ে আসেন। নির্বাচনের পর যাই। গিয়ে দেখি গাড়ির অবস্থা খুব বেশি ভালো না। গাড়ির কাগজ ১০ বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, এটাও জানতাম না। উপহারের গাড়ি ভাঙা হোক, যাই হোক, সেটা বিষয় না।

শিক্ষক মুখলিছুরের উপহার হিসেবে দেয়া ১৮০০ সিসির গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ ৫১-৪১০১। যার সর্বশেষ ট্যাক্স দেয়া হয়েছে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ। একই বছরের ১৫ জুলাই ফিটনেস মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় এই গাড়ির। এ কারণে ১০ বছরের সরকারি ফি বকেয়া রয়েছে। ১০ বছরের বকেয়া হিসাবে চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা সরকারি ফি বকেয়া। অর্থাৎ, গত ১০ বছর অবৈধভাবে গাড়িটি ব্যবহার করেছেন ওই শিক্ষক। এখন যার লাইসেন্স নবায়ন করতে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে হিরো আলমকে।

এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আগে জানা ছিল না গাড়ির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বকেয়া আছে। যেহেতু অ্যাম্বুলেন্স করব, জনগণের সেবায় দেব। তাই এ নিয়ে কথা বলব। কর্তৃপক্ষকে এই টাকা মাফ করে দিতে বলব। তারা যদি মাফ করে দেয় তাহলে ভালো। আর তা না হলে বলব অল্প টাকায় যেন এই সমস্যা সমাধান করা হয়।

এর আগে উপহার পাওয়া গাড়িকে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর ভাবনা কিভাবে এলো এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, অনেক সময়ই দেখি মানুষ মারা গেলে মরদেহ নেয়ার জন্য রাস্তায় রাস্তায় টাকা তোলা হয়। আবার জরুরি অবস্থায় কেউ অসুস্থ হলে টাকার জন্য কেউ কেউ অ্যাম্বুলেন্স নিতে পারে না। এসব কারণে গাড়িটিকে অ্যাম্বুলেন্স করে জনগণের সেবায় দেয়ার পরিকল্পনা করি।