দেখে না চোখে, পারে না হাঁটতে, তারপরও কুরআন মুখস্ত করেছেন এই শিশু

মোহাম্মাদ ঈসা আব্দুল হাদি। জন্ম থেকেই ১৩ বছরে এই বালক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। জন্মের পর থেকেই এই বালক চোখে দেখে না, হাঁটতেও পারে না।

তারপরও করেছেন পবিত্র কুরআন মুখস্ত। শুধু তাই নয় এই শিশু ত্রুটিহীন ভাবেই কুরআন তিলায়ত করতে পারছে। এছাড়া সে অনুসরণ করছে বিশ্ববিখ্যাত ক্বারীদের।

কুরআন মুখস্ত করতে গিয়ে ১৩ বছরের বালক আব্দুল হাদি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়নি।

তার বাবা আব্দুল হাদি বলেন, খুবই ছোট বয়স থেকে সে কুরআন নিয়ে সময় কাটায়। যখন তার বয়স ৪ বছর তখন আমরা লক্ষ্য করলাম সে কুরআন পড়তে পারছে। এরপরই আমরা তাকে উৎসাহ দেওয়াসহ সহযোগিতা করি।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঈসা আব্দুল হাদির বাবা আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করলাম তার কণ্ঠ বিশ্ববিখ্যাত ক্বারী আব্দুল বাছিদ এর মতো। এরপরই তার দুই বড় বোন সুমাইয়া এবং আয়েশা তাকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসে। তারা নিজেরাও নিয়মিত কুরআন পড়েন। সুমাইয়া ঈশাকে প্রথম সুরা আস শামস পাঠ করে শুনায়। এরপর সে নিজেও এটা আনন্দের সঙ্গে পাঠ করে। শুধু তাই নয় মুহাম্মদ ঈসা খালিজ টাইমস সদস্যদেরও কুরআন তিলায়ত করে শুনায়।

মোহম্মাদ ঈসা স্কুলে যায় না এছাড়া খাবার খাওয়া কিংবা টয়লেটে যাওয়ার জন্য যে যোগাযোগের প্রয়োজন সেটিও সে করতে পারে না। কিন্তু এমন অবস্থা সত্ত্বেও সে কুরআন মুখস্ত করছে। তার বাবা বলেন, আমরা তাকে স্কুলে পাঠাতে পারছি না। কারণ কোনো কিছু শেখা তার মেজাজের ওপর নির্ভর করে। এমন হয় সে কয়েকদিন কিছুই পড়ছে না আবার যখন পড়বে তখন অল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু আয়ত্বে নিতে পারে।

গত মাসে মোহাম্মাদ ঈসা পবিত্র কুরআন থেকে সুরা আল বাকার পাঠ করলে তা রেকর্ড করা হয়। এর আয়োজন করে আইনস্টাইন ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিট ধরে এর রেকর্ড করা হয়।

এর মাধ্যমেই সে বিশ্বের প্রথম বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু হিসেবে দীর্ঘ সময়ব্যাপী কুরআন পড়ার গৌরব অর্জন করে। তার পবিত্র কুরআন পাঠ করার রেকর্ডটি বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তার মেধার প্রশংসা করে। সূত্র: খালিজ টাইমস