সাফটা চুক্তিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে বলিউড ছবি ‘পাঠান’ মুক্তি পাবে কিনা, এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত দিতে দেখা গেছে সিনেমা সংশ্লিষ্টদের। কারো মতে, বলিউডের সিনেমা আসুক।
আবার কেউ এর ঘোর বিরোধী। তবে দেশের সিনেমা হলে হিন্দি সিনেমা মুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন। গত রোববার বিএফডিসিতে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমত্যে এসেছেন তারা।
এদিকে বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তির বিষয়ে নিজের অভিমত জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। তিনি বলেন, আমরাই কিন্তু প্রথম কাপল যারা বলেছিলাম ইন্ডিয়ান সিনেমা বাংলাদেশে আসা হচ্ছে পজেটিভ একটা সাইন।
কারণ আমরা সব সময় ইউটিউব, অ্যাপে দেখি বাইরের সিনেমাগুলো। অন্যদিকে অনেক পরিবার আছে যারা সিনেমা রিলিজ হলে ভারতের সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখে থাকেন। এত পাগল তারা।
বিশেষ করে পাঠান যখন রিলিজ হলো তখন আমি ঢাকাতেই ছিলাম। কিন্তু আমার শিডিউল ছিল শুটিং শেষ হলে আমি আমেরিকায় কখন যাব, কখন সিনেমাটি দেখব। ফাইনালি আমি নিউইয়র্কে গিয়ে সিনেমাটি দেখেছি।
আমি মনে করি, ইন্ডিয়ান সিনেমা আসাটা দোষের কিছু নয়। পজিটিভ একটা দিক। সিনেমা হল ভালো হবে। আমাদের দেশের প্রডিউসাররা সিনেমা বানাতে আরও বেশি আগ্রহী হবেন। ইন্ডিয়ান সিনেমা যখন বাংলাদেশের হলে অফিশিয়ালি চলবে তখন অনেক বিষয় সামনে চলে আসবে। দেখুন ইন্ডিয়াতে একই সঙ্গে বলিউড ফিল্ম ও সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমা চলে। ওরা কিন্তু দুই দিকের ইন্ডাস্ট্রির আর্টিস্টদের নিয়েই কাজ করে। আসলে সব জায়গাতেই সবার পরিচিতমুখ দরকার। আমি মনে করি, ইন্ডিয়ান প্রযোজনা হাউসগুলো তখন বাংলাদেশি আর্টিস্টদের সিলেক্ট করবে।
এই সিদ্ধান্তে এ দেশের সিনেমা ও আর্টিস্টরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে? তিনি বলেন, না নেই। এটি ভালো একটি সাইন। ক্ষতিগ্রস্ত কেন হবে? আমি মনে করি, যার যার জায়গায় সে সে রাজা। আবার অন্যদিকে চিন্তা করলে যার যার জায়গায় সে সে রানি। এতে তেমন কিছুই হবে। ভালো কিছুই হবে। আজকে একটা কথাই বলে রাখি, এই সিদ্ধান্তে সবারই লাভ হবে। ইন্ডাস্ট্রিরও লাভ হবে। অন্তত ক্ষতি তো আর হবে না কারও।