শুরুতেই টানা তিন ম্যাচে হার। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নেমে এর চেয়ে বাজে শুরু বোধহয় হতে পারতো না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।
তবে টুর্নামেন্টের যাবতীয় হার যে একবারেই হেরেছে কুমিল্লা সেটা তখন কজনই বা বুঝতে পেরেছিল। এরপর টানা ৯ ম্যাচ জিতে কোয়ালিফায়ার এরপর সেটার জেতার পর ফাইনাল মোট টানা ১১ ম্যাচ জিতে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন।
কি অবিশ্বাস্য এক যাত্রা! রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জেতা কুমিল্লার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সাথে হাজির হয়েছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক নাফিসা কামাল।
কুমিল্লা দলে ছিলেন না দেশের কোনো সিনিয়র ক্রিকেটার। এমনকি একবার তারা ঘোষনাই দিয়েছিল দেশের ক্রিকেটের পঞ্চপান্ডবের দলে নিবে না তারা। এরপর টানা দুইবার জিতে সেই সিদ্ধান্তকে পরোক্ষভাবে সঠিক বলেই দাবি করলেন নাফিসা কামাল। যদিও প্রথমে বলে নিয়েছেন চারটি কাপ জিতেছেন সেটা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।
নাফিসা বলেন, “চারটা কাপ জিতে এসেছি, এটাই টপিক হওয়া দরকার..। আর কল (সিনিয়রদের না নেওয়া) ভালো না খারাপ দেখিয়ে দিলো (ট্রফি), এটাই তো প্রমাণ।”
তবে টানা তিন ম্যাচ হারার পর ফিরে আসাটা কঠিন মনে হয়েছিল নাফিসার কাছে। এজন্য চট্টগ্রামে একসাথে বসে পরিকল্পনা নিয়ে লম্বা আলোচনা হয়েছে, তবে দলের প্রটি বিশ্বাস হারাননি তিনি।
“আশা না, আসলে বিশ্বাস ছিল চ্যাম্পিয়ন হবো। কীভাবে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে এটার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করেছিলাম। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া কোনো অপশন ছিল না। কামব্যাকটা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছিল, কামব্যাকটা করার জন্য চট্টগ্রামে একসঙ্গে হলাম। পরিকল্পনা কীভাবে বদলাতে হবে, কীভাবে করলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো” যোগ করেন নাফিসা।