ইলিশ মাছ ও খিচুড়ি নিয়ে তারা আমাকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিল: অপু বিশ্বাস

দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে নানা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। এবার তাঁকে দেখা যাবে মানসিক রোগীর চরিত্রে।

তবে চলচ্চিত্রে নয়, ওয়েব ফিল্মে। এই ওয়েবের শিরোনাম ‘ছায়াছবি’। এতে অপু মানসিক রোগী এবং তাঁর মনোরোগ চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রখ্যাত অভিনেতা তারিক আনাম খান।

গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর দিয়াবাড়িতে এর শুটিং শুরু হয়েছে। ‘ছায়াছবি’ ওয়েব ফিল্মটি নির্মাণ করছেন সৈয়দ শাকিল। এর গল্প লিখেছেন আহমেদ শাহাবুদ্দিন।

এদিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত নিজের প্রথম প্রযোজিত ‘লাল শাড়ি’ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন অপু বিশ্বাস। এবার সম্পাদনা, ডাবিং ও অন্যান্য কাজ শেষে সেন্সরের জন্য জমা দেবেন। আগামী বছর বিশেষ কোনো একটি দিনে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

এই সিনেমায় তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক সাইমন সাদিক। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বন্ধন বিশ্বাস।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। এসময় তিনি বলেন, আমার প্রিয় দর্শকরা এখনো আমাকে আগের মতোই ভালোবাসে। আসলে ভুলভ্রান্তি নিয়েই মানুষের জীবন। আমার জীবনেও নানা টানাপড়েন গেছে। তারপরও দর্শক জানে তাদের অপু কতটা দায়ী বা নির্দোষ। তাই তারা আগের চেয়েও আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। এর প্রমাণ পেলাম সম্প্রতি আমার লালশাড়ি ছবির শুটিং করতে যখন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর গেলাম, সেখানে।

অবিশ্বাস্য ছিল দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আমাকে দেখতে ছুটে এসেছে। একটি মেয়ে দুই দিন স্কুলে না গিয়ে আমার জন্য আচার বানিয়ে এনেছে। ফরিদপুর থেকে চার দম্পতি এসেছিল। আমার মা যখন মারা যান তখন থেকেই নাকি তারা আমাকে সান্ত্বনা দিতে, দেখতে চেয়েছিলেন। তাই তারা এবার সুযোগ পেয়ে আমার প্রিয় খাবার ইলিশ মাছ ও খিচুড়ি নিয়ে এসেছেন। তারা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন আমরাই তোমার বাবা-মা।

আমার প্রতি আজও দর্শকের এই ভালোবাসা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার হয়ে থাকবে। সাধারণ পুরস্কারের ওপর একসময় সময়ের ধুলা জমে। কিন্তু মানুষের ভালোবাসার এই পুরস্কার সব সময় ধুলাবিহীন জ্বলজ্বলে হয়ে থাকবে। আমার দর্শকদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।

দেশীয় চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা কেমন দেখছেন? অপু বিশ্বাস বলেন, দেশীয় চলচ্চিত্রে গত কয়েক বছর ধরে যে খরা চলছিল তার অবসান হয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমার অভিনীত দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ ছবিটি দিয়ে। এরপরই দেশীয় ছবির সুদিন আবার শুরু হয়। সেই ক্ষেত্রে আমাদের ছবিটিকে বলব শুভ সূচনাকারী একটি লক্ষ্মী ছবি।