চিকিৎসকের স্ত্রী হওয়া খুবই কঠিন: মাধুরী

বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। ১৯৯৯ সালে আমেরিকার নিবাসী দন্ত চিকিৎসক শ্রীরাম নেনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এই অভিনেত্রী। ইতোমধ্যে দাম্পত্য জীবনে একসঙ্গে ২৩ বছর পার করেছেন মাধুরী-শ্রীরাম।

তবে খুব একটা সহজ ছিল না অভিনেত্রীর দাম্পত্য জীবনের শুরুর দিনগুলো। সম্প্রতি স্বামীর ইউটিউব চ্যানেলে সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী। জানিয়েছেন সেই কষ্টের দিনগুলোর কথা।

মাধুরী বলেন, একজন চিকিৎসকের স্ত্রী হওয়া খুবই কঠিন। সংসার জীবনে সন্তানদের খেয়াল রাখা থেকে শুরু করে, স্কুলে থেকে আনা-নেওয়া, সংসারের প্রায় সব দায়িত্বই আমাকে পালন করতে হয়েছে। অনেক সময় দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু হয়েছে, শ্রীরামকে দরকার, কিন্তু সে তখন হাসপাতালে ব্যস্ত রোগীর চিকিৎসা নিয়ে।

আবার কখনও হয়তো আমি খুব অসুস্থ, তখনও সে হাসপাতালে রোগীর দেখাশোনায় ব্যস্ত। এমনও হয় যে, চার-পাঁচ দিন টানা হাসপাতালে সময় দেওয়ার পর বাড়ি ফেরেন তিনি।

অভিনেত্রী আরও বলেন, বিয়ের পর প্রাণ খুলে বাঁচার সুযোগ পেয়েছি আমি। জীবনটা নিজের মতো করে উপভোগ করতে পেরেছি। অবসর সময়ে আমরা বাইরে যেতাম, অনেক জায়গায় ট্রাভেল করতাম। সেই সঙ্গে প্রচুর অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসও করেছি, যেটা আগে কখনও করিনি আমি। উনি আমার জীবনকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছেন। এমনকি আমাকে আরও ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সহায়তা করেছেন।

তবে অভিনেত্রী তার চিকিৎসক স্বামীর জন্য বেশ গর্বিত বলে জানিয়েছেন তিনি। মাধুরী বলেন, শ্রীরাম যে ভাবে রোগীদের দেখাশোনা করেন, তাদের বাঁচতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেন, তা দেখে সত্যি মুগ্ধ আমি।

স্বামীকে উদ্দেশ্য করে অভিনেত্রী বলেন, আমি জানি, তুমি ভীষণ ভালো মনের মানুষ। বিয়ের ক্ষেত্রে নিজের জীবনসঙ্গীকে ভালোভাবা জানাটা খুবই প্রয়োজন। এতে দুজনের বোঝাপড়াটা অনেক গভীর হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে জন্ম নেয় মাধুরী ও শ্রীরামের বড় ছেলে অরিন। এর প্রায় দু-বছর পর এই দম্পত্তির কোল জুড়ে আসে ছোট ছেলে রায়ান। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে মুম্বাইতে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছেন মাধুরী।