ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মানুষের নজর কেড়েছে কোটি টাকার খাট। মেলার শুরু থেকেই খাটটি মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
এরইমধ্যে মেলা প্রায় শেষ পর্যায় এসে পৌঁছেছে। তবু বিক্রি হয়নি ‘পরী পালং’ খাট। এর দাম ১ কোটি টাকা চাচ্ছেন বিক্রেতা।
সেই সঙ্গে ক্রেতাকে ইয়ামাহার এফজেড মডেলের মোটরসাইকেল এবং এক ভরি স্বর্ণের গহনা উপহার দিতে চাচ্ছেন তিনি। তবু কেউ সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত ‘পরী পালং’ খাটের সর্বোচ্চ দর উঠেছে সাড়ে ৫১ লাখ টাকা।
এদিকে রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্য মেলায় খাটটি প্রায় এক মাস ধরে প্রদর্শিত হচ্ছে। ‘পরী পালং’ এর নকশাকারী ও মালিক মো. নুরুন্নবী বলেন, রাজকীয় কারুকাজ ও পরীর ডিজাইনে খাটটি তৈরি করা হয়েছে। এতে কোনো মেশিনের ব্যবহার করা হয়নি। এছাড়াই হস্তশিল্পের সর্বোচ্চ নৈপুণ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, খাটটির দাম এক কোটি টাকা চাচ্ছি। যিনি কিনবেন তাকে ইয়ামাহার এফজেড মডেলের মোটরসাইকেল এবং এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রত্যাশানুযায়ী দাম পাইনি। জানা যায়, মেলায় স্টলটির সামনে ব্যারিকেড দেয়া আছে। যার বাইরে থেকে খাটটি দেখছেন দর্শনার্থীরা। খাটের চার কোণে পরীর আদলে তৈরি ৪টি এবং বিভিন্ন অংশে ১২টি পরী আছে। পরীর হাতে ৪টি প্রজাপতি রয়েছে। এর পাশে চারটি চাঁদ ও ছয়টি সূর্যের নকশা বিদ্যমান। পাটাতনগুলো তুলে রাখার ব্যবস্থা আছে।
এদিকে নামকরণ প্রসঙ্গে নুরুন্নবী বলেন, পরীর আদলে তৈরি করায় নাম দেয়া হয়েছে ‘পরী পালং’ খাট। চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির গুইমারায় এটি তৈরি করা হয়। এই নকশা বিশ্বের কোথাও নেই। শখের বশে খাটটির ডিজাইন করেছেন আমার ভাই। আর তৈরি করেছেন স্থানীয় কারিগর আবু বক্কর সিদ্দিক। ২০১৭ সালে তিনি ও তার সহকারী এ নিয়ে কাজ শুরু করেন। ৩ বছর ২ মাসে তা সম্পন্ন করেছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, খাটটি তৈরি করতে প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্য মেলায় স্টল নেয়াসহ সবমিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে অন্তত ৫০ লাখ টাকা। সেগুন কাঠের ফাইবার দিয়ে মনোমুগ্ধকর খাটটি তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ২০০ ঘনফুট কাঠ থেকে ৮৫ ঘনফুট কাঠের ফাইবার বের করে সেটি বানানো হয়েছে। এত কিছুর পরও ন্যায্য দাম না পাওয়াটা দুঃখজনক হবে। এতে সৃজনশীল কাজে মানুষ অনুৎসাহী হবেন।