বাংলাদেশে ভারতীয় হিন্দি সিনেমা মুক্তির চেষ্টা চলছে কয়েক বছর ধরে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ে এ সম্পর্কিত আবেদন করেছিল চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
শোনা যাচ্ছিল, বছরে ১০-১২টি বলিউডের সিনেমা আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সম্প্রতি ‘পাঠান’ সিনেমা মুক্তির জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। সেখান থেকে এর সিদ্ধান্তের ভার চলে গেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তির বিপক্ষে আন্দোলন করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে কাফনের কাপড় পরে সেই আন্দোলন করেছিলেন শিল্পীরা।
কিন্তু এখন শিল্পী সমিতি হিন্দি সিনেমা আমদানির পক্ষে। সেজন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ চাইছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক (মামলা চলমান) নিপুণ আক্তার। এদিকে নিপুণের এই দাবিতে বেজায় চটেছেন সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে জয়ী হয়েও মামলা চলমান) জায়েদ খান।
জায়েদ খান বলেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার জন্য আমি কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধেছি, রাস্তায় নেমেছি। স্বার্থের কাছে কোনোকিছু জলাঞ্জলি দেইনি।
আমাকে এমনও অফার করেছে যে, ওই দেশের ছবিতে কাজের সুযোগ করে দেবে। দিক বা না দিক, লোভ দেখিয়েছে। যদি শিল্পী সমিতি থেকে আন্দোলন না করি, তাহলে ভালো অঙ্কের টাকা দেবে। কয়েকটি হোটেলেও আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু আমি আমার এই দেশীয় সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য নিজেকে কারও কাছে বিক্রি করে দেইনি।’
জায়েদ আরও বলেন, ‘আমি এর চেয়ে আরও বড় বড় অফার পেয়েও শিল্পীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছি। মিথ্যা বলে লাভ নেই, হিন্দি ছবির সাথে আমরা পারব না। সব সিনেমা হল দখল করে নেবে। নেপাল এভাবে পরীক্ষামূলকভাবে হিন্দি সিনেমা আমদানি করেছিল। পরে পুরো ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ইন্ডিয়ান ছবির বিপক্ষে না।’