বছরের সেরা নায়ক রাজ, তৃতীয় শাকিব খান

বছরের শুরুতে ধারণা করা হচ্ছিল ঢালিউড কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে। নবতরঙ্গের ছোঁয়া লাগবে। হাপিত্যেশ কমবে খানিকটা। নির্মিত হবে ভালো ভালো সিনেমা।

সেখান থেকে উঠে আসবে কয়েকজন নায়ক। যারা বাংলা চলচ্চিত্রকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন।

চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির তথ্য মতে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০২২ সালে ৪৯টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত এসব সিনেমায় পরিচিত নায়কেরাই অভিনয় করেছেন।

ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে এ বছর। একটি গলুই, অন্যটি বিদ্রোহী। রোজার ঈদেই মুক্তি পেয়েছে এই দুই ছবি। এর মধ্যে শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া বিদ্রোহী প্রথম সপ্তাহে ব্যর্থ হয়। ফলে দ্বিতীয় সপ্তাহে কমে যায় হলের সংখ্যা। তবে সরকারি অনুদানের গলুই বেশ ভালো চলেছে। সুপারহিট বলা না গেলেও অ্যাভারেজ ব্যবসা করেছে এটি। এতে ঢালিউড ভাইজানের অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে।

তবে সিনেমার হিসাব-নিকাশ বদলে দেয় পরাণ। সিনেমাটি দেখতে দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এই ছবির মাধ্যমে শরিফুল রাজ নিজেকে প্রমাণ করেন। ফলে দর্শকের বাহবা পেয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইন্ডাস্ট্রির অনেকে তার প্রশংসার পঞ্চমুখ।

জ্যেষ্ঠ পরিচালক কাজী হায়াত বলেছেন, ‘শরিফুল রাজ ভালো অভিনয় করছেন। আমি তার মাঝে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। ভবিষ্যতে তিনি আরও ভালো করবেন।’

গুণিন, দামাল ও হাওয়া শিরোনামের তিনটি ছবি মুক্তি পায় রাজের। তিনটি ছবিতেই অনবদ্য অভিনয় করেছেন তিনি। এই ছবিগুলোতে নায়কোচিত উপস্থিতি না থাকলেও চরিত্রাভিনেতা হিসেবে নজর কেড়েছেন এ অভিনেতা।

বছরটি সিয়াম আহমেদের জন্য ভালো যায়নি বলা যায়। চারটি সিনেমা মুক্তি পেলেও তিনি যেন ব্রাত্য হয়ে ছিলেন। শান, পাপ-পুন্য, অপারেশন সুন্দরবন ও দামাল সিনেমাগুলো খানিকটা আলোচিত হলেও তার অভিনয় নজর কাড়েনি। আলোচনা হয়নি সেভাবে।

বছরের শুরুর দিকে জিয়াউল রোশানের মুখোশ মুক্তি পায়। এতে যদিও তিনি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে অপারেশন সুন্দরবন সিনেমায় তার অভিনয় দর্শক পছন্দ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তা জানিয়েছেন।

এদিকে ধারণা করা হচ্ছিল, চঞ্চল চৌধুরীর পাপ-পুন্য সিনেমাটি নিয়ে তুমুল আলোচনা হবে। কিন্তু তা হয়নি। সিনেমা হলে মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি। ওটিটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কিছু মানুষ সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেছেন।

তবে হাওয়ার মাধ্যমে দর্শকের সেই হতাশা দূর করেছেন চঞ্চল। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রের অভিনেতা ছিলেন তিনি। এতে তার অভিনয়, সংলাপ বলার ধরন ও শারীরিক ভাষা—সবই মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। ফলে সুপারহিট হয় এই ছবি।

সুতরাং সার্বিক দিক বিবেচনায় বছরের সেরা নায়ক হিসেবে শীর্ষে ছিলেন রাজ। দ্বিতীয় অবস্থানে চঞ্চল। ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ নায়ক শাকিব তিন নম্বরে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে সিয়াম ও রোশান।

এর বাইরে অনেক নায়কের ছবি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তাদের কোনো ছবি সেভাবে আলোচনায় আসতে পারেনি। নেই সেরা নায়কের তালিকায়। সূত্র: ঢাকা মেইল।