এক কাপ চা আর দু’টি সমুচা খেয়ে বিল দিতে হলো ৬২৮ টাকা!

এক কাপ চা, আর সাথে মচমচে দুটি সমুচা। হালকা নাস্তা সেরে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয়দের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখরোচক খাবারের আইটেম।

আর এই খাবার দিনের যেকোনও সময়ই আপনি খেতে পছন্দ করবেন তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। বিশেষ করে ব্যস্ত কাজের সময়সূচি থেকে বিরতিতে কিংবা অন্য শহরে ভ্রমণের সময় অনেকেই সংক্ষেপে চা, সমুচা অথবা সিঙারা খেয়ে নেন।

তবে এই খাবার কেবল সুস্বাদুই নয়, বরং অল্প টাকায় সব জায়গায় পাওয়া যায়। কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি টুইট ভাইরাল হয়ে ছড়িয়েছে।

ভারতের ফারাহ খান নামের এই সাংবাদিকের টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনাও। ফারাহ খান মুম্বাই বিমানবন্দরে এক কাপ চা, দু’টি সমুচা খেয়েছিলেন। খাওয়ার পর যে বিল পরিশোধ করেছিলেন তিনি, তার রশিদ টুইট করার পর সেটি ভাইরাল হয়ে গেছে।

এছাড়া খাবারের মূল্যের রশিদের সাথে সমুচার ছবিও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। চা, সমুচার বিল দেখে অনেকের পিলে চমকে গেছে। বুধবার টুইটে ফারাহ খান লিখেছেন, মুম্বাই বিমানবন্দরে দু’টি সমুচা, এক কাপ চা আর এক বোতল পানির দাম ৪৯০ রুপি (বাংলাদেশি ৬২৮ টাকা ৩৮ পয়সা)!! খুবই ভালো দিন এসে গেছে।

মূলত তার শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, দু’টি নিয়মিত আকারের সমুচা এক কাপ চায়ের সাথে পরিবেশন করা হয়েছে। খাবার দেখতে সুস্বাদু মনে হলেও দাম ছিল বেশ বেশিই। ওই সাংবাদিকের কাছে দু’টি সমুচা, এক কাপ চা এবং এক বোতল পানির দাম ৪৯০ রুপি রাখা হয়েছে। সাধারণত সমুচা এবং চায়ের দাম এত বেশি হয় না। প্রকৃতপক্ষে এই খাবারের জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হল এটি কম টাকায় এবং প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।চা এবং সমুচার আকাশচুম্বী দাম নিয়ে করা ওই টুইট মুহূর্তের মধ্যে টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যে এই টুইট দেখেছেন প্রায় ১৮ লাখ মানুষ। আর লাইক দিয়েছেন ১২ হাজারের বেশি এবং রিটুইট করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

অনেক পাঠকেই টুইটের নিচে মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, বিমানবন্দরে যারা সমুচা খান, তাদের কখনোই এর দাম নিয়ে অভিযোগ করা উচিত নয়। অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, মুম্বাইয়ের কান্দিওয়ালি রেল স্টেশনে দু’টি সমুচা, এক কাপ চা আর এক বোতল পানির দাম মাত্র ৫২ রুপি।আরেকজন লিখেছেন, ছবিতে সমুচা আছে। আলোচনা শেষ! সূত্র: এনডিটিভি।